Published : 25 May 2025, 11:54 PM
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভেতরে ও বাইরে আরেকটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এখান থেকে রক্ষা পেতে হবে। তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। বিভাজন থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।”
হঠাৎ তৈরি হওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে রোববার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ ভাবনার’ বিষয়টি সামনে আসার পর শনিবার রাতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন ইউনূস। বৈঠকে নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে তিন দলই নিজেদের আগের অবস্থান তুলে ধরে।
রোববার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার আরও ২০ দলের নেতাদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা, যা শেষ হয় রাতে।
বৈঠক শেষে যমুনার সামনে প্রেস সচিব বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তুলে ধরতে সাংবাদিকদের সামনে আসেন।
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করা নিয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “উনি (প্রধান উপদেষ্টা) এক কথার মানুষ। আমি কালও (শনিবার) বলেছি, আজও বলছি– উনি এক কথার মানুষ। তিনি বারবার বলেছেন, ‘ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। জুলাইয়ের এক তারিখ পার হবে না’।”
রোডম্যাপের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, “যখন সময় আসবে, তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) রোডম্যাপ বা সিডিউল ঘোষণা করবেন।”
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে প্রধান উপদেষ্টা অপরাধবোধে ভুগবেন বলেও বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বলেছেন বলে তুলে ধরেন শফিকুল।
তিনি বলেন, ‘‘স্যার (ইউনূস) তার বক্তব্যে বলেছেন, ’আমরা বড় যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পরে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য যতভাবে সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। এখান থেকে আমাদের রক্ষা পেতে হবে। তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। বিভাজন থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। ঐকমত্য থাকতে হবে। আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে আমরা যতটুকু দাঁড়াতে পেরেছি, সেটা যেন সামনে এগোয়। সবাই একসঙ্গে আছেন—আমি সাহস পাচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে আমি অপরাধবোধ করব’।”
প্রেস সচিব বলেন, অভ্যুত্থানের কারণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশকে টেনে তোলার এ মহাসুযোগ কাজে লাগানোর কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। দলগুলোর নেতারা তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। সংস্কার, শুরু হওয়া বিচার কার্যক্রম এবং নির্বাচনের জন্য যে কাজ চলছে, সেটির প্রতি তারা পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
”একইসঙ্গে তারা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকবেন। এটাই ছিল মূল বার্তা।’’