Published : 11 May 2025, 05:16 PM
মা দিবসে নিজের মা খালেদা জিয়াসহ সব মায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার নিজের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি নিজের মা খালেদা জিয়ার কথাও লিখেছেন।
“আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।”
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে আছেন। ২০০৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি।
এরপর একের পর এক মামলা হওয়ায় তিনি আর দেশে ফেরেননি। ১৭ বছর পর গত ৬ মে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান।
পোস্টে তারেক লিখেছেন, “আজকের এই দিনে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মাকে। আমি কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
“মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শনজনক আন্তর্জাতিক দিবস। এ দিবস সমাজ ও পরিবারে মায়ের গুরুত্ব ও অবদানের জন্য উদযাপন করা হয়। এ দিবসে বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালবাসা থাকে, তবু স্বতন্ত্রভাবে ভালবাসা জানাতেই আজকের এই দিন।”
তারেক বলেন, “পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহীয়সী মায়ের শিক্ষাতেই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। মা দিনের সব অবসাদ, ক্লান্তি ঘুচিয়ে সব সংগ্রামের মাঝেও সন্তানকে আগলে রাখেন। সুমাতার সাহচর্যে সন্তানের উৎকর্ষ ও প্রকৃত মানব-সত্ত্বার জাগরণ ঘটে, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র।
“বহু দেশ ও সংস্কৃতি মা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করে এক অসাধারণ মাত্রা দিয়েছে। মাতৃত্বের প্রতি উৎসর্গিত এক অনন্য দিবস- মা দিবস। পৃথিবীর মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালবাসা “
নিজের মায়ের কথা উল্লেখ করে তারেক লিখেছেন, “রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ ও অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম, জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালোবাসায়।
নিজের রাজনৈতিক জীবনে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন খালেদা জিয়া। প্রথমবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯১ সালে।
এরপর ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেও সেই সরকার টিকেছিল কয়েক সপ্তাহ। তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার অবদান তুলে ধরে তারেক লিখেছেন, “তার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে।
“বিএনপির শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে, তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।”
মা নামটির মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি লেখেন, “শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনার প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম।
“আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা- সব মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। সন্তানকে নির্ভুল ও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবল সুমাতা, যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়।”