Published : 14 Dec 2023, 08:49 PM
ক্ষমতাসীন দল নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল সাজিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব নেতা রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, “গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আওয়ামী ডামি, আওয়ামী স্বতন্ত্র, আওয়ামী নৌকা, মনোনীত নৌকা, অনুমতিক্রমে স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী নৌকা আওয়ামী জোট ও আওয়ামী পার্টির এক ‘কিম্ভূতকিমাকার’ নির্বাচনের আয়োজন চলছে।
“এক ক্লাবের খেলা চলছে। খেলোয়াড়ও একই দলের, যেটা লাউ সেটাই কদু। নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল। ভোটারদের কাছে আহ্বান, জবরদস্তি করলেও ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করুন। শেখ হাসিনার ‘ভোটরঙ্গ’ রুখে দিন।”
বৃহস্পতিবার বিকালে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারের ‘পুতুল’ অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত ক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হ্ত্যা করেও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঠেকানো যায়নি। বর্তমান ‘স্বৈরাচারী সরকার গুম-খুনের মাধ্যমে পাতানো প্রহসনের নির্বাচনের পাঁয়তারা করলেও নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবে না।”
‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনেও বাধা দিয়েছে’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে চাইলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “বিজয় দিবসের র্যালি করার অনুমতি দিতেও তারা টালবাহানার মাধ্যমে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে বাধার সৃষ্টি করেছে তারা।
“গতকাল গভীর রাতে পুলিশ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে প্রবেশ বা তল্লাশি করতে গেলে অনুমতি নেওয়ার নিয়ম আছে। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে কক্ষে কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সেখানে রাখা পুস্পস্তবকসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু নিয়ে যায়। সেই পুস্পস্তবক একেবারে ছিঁড়ে-টিরে ফুলগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তছনছ করে দেয়। আবার হুমকিও দিয়েছে কেউ অফিসে গেলে গ্রেপ্তার করবে। এরা বলে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে।”
রিজভীর অভিযোগ, “গুলশান থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢুকে ফুলের রিং বাইরে নিয়ে এসে প্রকাশ্যে ছিড়ে ফেলে। কোন দেশে বসবাস করছি আমরা? আমরা মনে হচ্ছে ক্রীতদাস, আমরা মনে হচ্ছে প্রজা।”
গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নয়া পল্টনের ত্রিসীমায় যেতে পারেন না আমাদের নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়েও নজরদারি করছে।