Published : 31 Jul 2017, 05:08 PM
অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম তাম্পেরে ঘুরতে যাবো। সামারের এই ছুটিতে সেই সুযোগ এলো।ফিনল্যান্ডের স্বাধীনতা ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাম্পেরের গুরুত্ব ছিল অনেক।
সাজানো গুছানো এই শহরে অনেক দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সারকিনিয়ামি অন্যতম। ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বিনোদন পার্ক। সারকিনিয়ামির রাইডগুলো ছিল রীতিমত ভয়ংকর। ঘূর্ণি আর অভিকর্ষের বিরুদ্ধে শুন্যে তুলে আন্দোলিত করা,আমার মতোভিতুর জন্য তা অত্যাচারের সামিল।
১৯০৫ সালে লেনিন এই শহরে আসেন। তাম্পেরে ওয়ার্কার্স হলে বলশেভিক পার্টির কনফারেন্সে স্তালিনের সাথে লেনিনের প্রথম দেখা হয়। তখন ফিনল্যান্ড রাশিয়ার অংশ ছিল।
১৯০৬ এর ৭ জানুয়ারি লেনিনের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন জর্জিয়ান তরুণ নেতা স্তালিন, ব্যক্তিগত জীবনে লেনিনের ভক্ত হওয়া সত্ত্বেও সেদিন লেনিনের ভোটে অংশ নেওয়ার রাজনৈতিক কৌশলের সমালোচনাই করেছিলেন বলে জানা যায়।
এই জাদুঘরেই রয়েছে মজার একটা ‘সাইডকার’ গাড়ি, প্যাসেঞ্জার সিটে বসে আছেন স্বয়ং ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন। কিন্তু ওই মূর্তি ছুঁয়ে দেখা নিষেধ। দর্শনার্থীরা তার পাশে বসে ছবি তুলতে পারবেন। সাইডকারটি যে কক্ষে রয়েছে সেই কক্ষেই দুই মহারথী লেনিন ও স্তালিনের প্রথম দেখা ও আড্ডা হয়েছিলো।
এটি বিশ্বের দুর্লভতম জাদুঘরগুলোর একটি, কারণ সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙ্গনের পর লেনিন নিয়ে সমস্ত স্মৃতিমালা যেন চাপা পড়ে গিয়েছে এক নিমেষে।কিন্তু ফিনল্যান্ডের ক্ষুদে জাদুঘরটি টিকে গেছে, মূলত এই দেশের লোকদের আগ্রহের কারণে।
লেখক: প্রবাসী ছাত্র, বায়োমেডিক্যাল ইমেজিং, অবো একাডেমি ইউনিভার্সিটি, তুরকু, ফিনল্যান্ড
এই লেখকের আরও লেখা
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |