Published : 12 Jul 2024, 10:45 PM
আগামী মাসেই রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব জানান।
তিনি বলেন, “সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতর হওয়ায় বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য ভারতের অনাপত্তিপত্র সময় মত না পাওয়ায় স্থলবন্দরের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণকাজ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হতে দেরি হয়। সেসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাওয়ায় নতুন করে স্টিল স্ট্রাকচারে নির্মিত হচ্ছে চারতলা বিশিষ্ট স্থলবন্দর প্রশাসনিক ভবন ও দোতলা ইমিগ্রেশন ভবন। তবে, অবকাঠামো নির্মাণে সময় লাগলেও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তত বন্দর কর্তৃপক্ষ।”
পরিদর্শনের সময় আরও ছিলেন রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সরোয়ার আলম, ইউএনও মমতা আফরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, রামগড় ৪৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ, স্থলবন্দর ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন, প্রকৌশলী রুহুল আমিন, রামগড় থানার ওসি দেব প্রিয় দাস।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে বন্দরটি চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়। সে লক্ষ্যেই দ্রুত ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণসহ অন্য সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। তবে এরপর বেশ কয়েক মাস গেলেও আলোর মুখ দেখেনি রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়টি।
ভারতের সেভেন সিস্টার্সখ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য অরুণাচল, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রামগড় ও ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করা এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন বলেন, “রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ রামগড় ও সাব্রুম সীমান্ত পথে ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন। একইভাবে ভারতের ত্রিপুরাসহ আশপাশের রাজ্যের মানুষও এ সীমান্ত পথে বাংলাদেশে ভ্রমণে আসতে পারবেন।
“দক্ষিণ ত্রিপুরার মহকুমা শহর সাব্রুম থেকে ইতোমধ্যে আগরতলা পর্যন্ত রেল সার্ভিসও চালু করা হয়েছে বলে জেনেছি। ওখানে মহাসড়কেরও উন্নয়ন করা হয়েছে।”