গাজীপুরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার সকালে উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসভার নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদারকে এবং সদস্য সচিব করা হয় এম আনোয়ার হোসেনকে।

পৌর কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় মামুদ সরকার ও সদস্য সচিব করা হয় মহসিন উজ্জামানকে।

পৌর বিএনপির কমিটি সবাই মেনে নিলেও উপজেলা বিএনপির কমিটি মেনে নিচ্ছে না ইউনিটটির সাবেক সভাপতি পারভেজ আহমেদের পক্ষেটি।

এ কমিটি বাতিলের দাবিতে শনিবার রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেন তার পক্ষের নেতাকর্মীরা।

একই দাবিতে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এ সময়ে নতুন কমিটির সমর্থনে আরেকটি মিছিল বের হলে উভয়ের পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

এরপরও বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়লে পুলিশ কয়েকটি কাঁদুনে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ বিষয়ে পারভেজ আহমেদ বলেন, “শনিবার একটি আহ্বায়ক কমিটির গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তারা সবাই একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলাফেরা করেছে। যে কারণে ওই কমিটি বাতিল করার দাবিতে আমাদের নেতাকর্মীরা সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

“তখন গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা ওই পকেট কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।”

তবে ইশরাক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “যাদের নতুন কমিটিতে রাখা হয়েছে তারা সবাই ক্লিন ইমেজের। তাদের ব্যাপারে এলাকার মানুষের কোনো অভিযোগ নেই। সকালে নতুন কমিটি আনন্দ মিছিল বের করলে পদবঞ্চিত একটি পক্ষ হামলা করেছে।”

কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, “বর্তমানে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।”