Published : 09 Jun 2025, 10:13 AM
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ অন্তত ১০ জনকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে বলে রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান।
আহতরা হলেন- রামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রেদোয়ান সালেহীন নাঈম, আজিজ শাকিল, সাঈদ আলম শাহীন, জাহীদ হাসান পাবেল, তারেক আজিজ, সায়মন স্যাম, তারেক ও সংবাদকর্মী রায়হানুর রহমান। বাকি দুজনের নাম পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে রাতেই তাদেরকে হাসপাতাল দেখতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম।
আটকরা হলেন মো. মাসুদ, কামাল হোসেন ও তুষার৷ তাদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলেন, রোববার বিকালে রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের শৈরশই গ্রামের গনক বাড়িতে রাহুল ও সাফোয়ান নামে দুই কিশোর ফুটবল খেলছিলেন। তখন ফুটবল পড়ে একই বাড়ির এনজিওর কর্মী সোহাগ আলমের এক বছরের ছেলে আনাছুর রহমান মাথায় আঘাত পায়। পরে রাহুল ও সাফোয়ানের কাছে শিশুটির মা আমেনা আক্তার বিথী ফুটবল মারার কারণ জিজ্ঞেস করেন। এ নিয়ে আমেনার সঙ্গে রাহুল ও সাফোয়ানের স্বজনদের বাগবিতণ্ডা হয়।
সন্ধ্যায় শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতাল নেওয়া হয়। হাসপাতাল নেওয়ার সময় রাহুলের বাবা রাজন হোসেন ও সাফোয়ানের বাবা মো. লিপনসহ তাদের স্বজনরা শিশুটির বাবা সোহাগকে আইনের আশ্রয় না নেওয়ার ‘হুমকি’ দেন।
শিশু আনাছুরকে হাসপাতাল ভর্তি করার পর রাহুল-সাফোয়ানদের স্বজন মাসুদ, তুষার, কামালসহ কয়েকজন সেখানে যায়। এক পর্যায়ে শিশুটির ফুফু জান্নাতুল ফেরদাউসের চুল টেনে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। ঘটনাটি শিশুটির বাবা সোহাগ তার আত্মীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রেদোয়ানকে জানান।
পরে রেদোয়ানসহ কয়েকজন হাসপাতালে গেলে তুষার, মাসুদ ও কামালসহ ২০-২৫ জন লাঠিসোঁটা দিয়ে রেদোয়ানসহ দশজনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তারা রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
রামগঞ্জ উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “হাসপাতালের ভেতর মারধর করার ঘটনায় আমরা নিজেরা উদ্বিগ্ন। আমাদের চিকিৎসক ও নার্সরাও অনিরাপদ।”
এ বিষয়ে নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলম বলেন, “হামলার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা হয়ছে। জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা পুলিশকে বলেছি।”
রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় আটক তিনজনের র বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।