Published : 20 May 2025, 02:26 PM
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছে ধাক্কা লেগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার করইতলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন- সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির যাত্রী রফিকুল ইসলাম রফিক (৩৮) ও ওসমান গণি (৫০)।
নিহত রফিক ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও কমলনগর উপজেলার চরফলকন গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।
অপর নিহত ওসমান একই উপজেলার কাদিরপন্ডিতের হাট এলাকার হাজী নোয়াব আলীর ছেলে ও পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তারা হলেন- চরফলকন গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে রিজভি এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আকাশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রফিক ও ওসমান ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছিলেন। তারা বাস থেকে লক্ষ্মীপুরের ঝুমুর এলাকায় নামেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তারাসহ অন্য যাত্রীরা কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট রওয়ানা দেন।
পথে ঘটনাস্থল পৌঁছালে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
রফিকসহ আহত তিন জনকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রফিককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর ওসমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, “দুর্ঘটনার পর রফিক নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতাল আনা হয়েছে। হাসপাতাল আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।”
নিহত ওসমানের মামাতো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান টিপু বলেন, ওসমান চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে তার একটি অপারেশন হয়েছিল। পরে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি।
এদিকে রফিকের মৃত্যুতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবীর স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্বপন সদর হাসপাতালে গিয়ে রফিকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
মহসিন কবীর স্বপন বলেন, “রফিক ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। তিনি বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। হাসপাতালের গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ”
ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশাটি জব্দ রয়েছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”