Published : 20 May 2025, 06:25 PM
ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলায় কৃষকদের প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে ১৫ মে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কৃষি কার্যালয় ও বনবিভাগের কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
রায়গঞ্জের ইউএনও হুমায়ুন কবির বলেন, “ধান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযোগ লিখিত পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, ১৪ মে রাতে রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের আমশাড়া গ্রামে অবস্থিত ‘রাকিব সুপার ব্রিকস’ নামক ইটভাটার চিমনি খুলে দেওয়া হয়। এতে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বের হয়ে আমশড়া উত্তরপাড়া, শ্যামেরঘোন এবং তাড়াশ উপজেলার খোর্দ মাধাইনগর এই তিনটি গ্রামের ১৫-২০ বিঘা জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ছাড়া এসব এলাকার কয়েকটি বাগানের পেয়ারা ও অন্যান্য গাছ নষ্ট হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সিরাজুল ইসলাম, মজনু সেখ ও সুধীর চন্দ্র সরকার বলেন, রায়গঞ্জের নিমগাছির পুল্লা গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম অবৈধভাবে কৃষি জমির মাঝে ইটভাটা স্থাপন করেছেন। গত বছরও তার ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় বেশ কয়েকজন কৃষকের ধান পুড়ে গিয়েছিল। এবারও প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলেও ইটভাটার মালিক কোনো কর্ণপাত না করায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তারা।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্তে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ইটভাটার মালিক আব্দুল কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, “ইটভাটার কারণে ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং বেশি সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ধানের ক্ষতি হতে পারে।”