Published : 08 Jun 2025, 08:17 PM
বান্দরবান সদর উপজেলায় ১২ বছরে এক ম্রো শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে শিশুটিকে গুরুতর অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) দিলীপ চৌধুরী।
শনিবার রাতে উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের একটি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বান্দরবান সদর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ। রোববার অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়।
আটক মেনয়া ম্রো (৪০) কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলী গোদার পাড় এলাকার বাসিন্দা।
শিশুটির মা বলেন, “শনিবার সন্ধ্যায় দুই শিশুকে নিয়ে মেনয়া ম্রো ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে যান। কাঁকড়া খুঁজতে গিয়ে রাত হয়ে যায়। তখন মেনয়া বাড়ি থেকে অনেক দূরে এসেছি বলে দুই শিশুকে টংঘরে ঘুমিয়ে সকালে বাড়ি ফেরার কথা বলেন।
“গভীর রাতে মেনয়া এক শিশুকে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করে রাতেই বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসে। জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, ‘মেনয়া তাকে ধর্ষণ করেছে।’ পরে পাড়ার লোকজন মিলে ভোরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী বলেন, সকাল ৮টার দিকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল।
তাৎক্ষণিক স্থানীয় কয়েকজন যুবকের রক্ত সংগ্রহ করে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অস্ত্রোপচারের পর তিনি বলেন, “শিশুটির পায়ুপথ ও জরায়ুর ভেতরে ও বাইরে ৯০ ভাগ কাটাছেঁড়া পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যদি ধর্ষণ না হয়, তাহলে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে এতটা ক্ষত হওয়ার কোনও কারণ নেই।”
ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।