Published : 03 Jan 2024, 09:10 PM
কিছুটা সূর্যের দেখা মিললেও দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বুধবার থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ৭ দমমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সোমবার গভীর রাত থেকেই বৃষ্টির মত পড়ছে ঘন কুয়াশা। বুধবার সকালে সূর্যের দেখা মিললেও রোদ গায়ে লাগেনি। তিনদিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন।
শহরের খালপাড়া শুকুর আলী বলেন, “গত কয়েকদিনে তুলনামূলক শীত বেশ পড়ছে। সোমভার রাত থেকেই তো বৃষ্টির মত কুয়াশা।”
রামেরডাঙ্গা এলাকার ইবাদত আলী ও আখেরি রোড এলাকার আলী আকবর বলেন, কাজ না থাকলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে লোকজন একেবারে কমে গেছে।”
শহরের ইসলামবাগ এলাকার আকতার হোসেন নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, “কয়েকদিন ধরে বেশ শীত করতেছে। এ সময় সরকার কিছু গরম কাপড় দিলে লোকজনের উপকার হয়।”
সিনেমাহল রোডে রামের ডাঙ্গা এলাকার দিনমজুর খাদেমুল ইসলাম বলেন, “ভাই শীতত মনে হছে মরে যাছু। ঘরের বাহিরত দেহাডা দেহাডা খুব কাঁপছে। বাহিরত দাঁড়ায় রহা যায় না।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশা থাকার কারণে উত্তর দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় গত দুইদিন ধরে পঞ্চগড়ে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সূর্যের তাপ ভুপৃষ্ঠে পুরাপুরি আসছে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি রয়েছে। হিমালয়ের খুব কাছে অবস্থান করায় এখানে শীতের তীব্রতা একটু বেশি।
“মঙ্গলবার সকালে এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।”
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৬ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকৃত গরিব ও অসহায় মানুষদের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।