Published : 10 Apr 2024, 02:00 PM
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নেই যাত্রীদের কোলাহল; হাঁকডাক নেই পরিবহন শ্রমিকদের। দুদিন আগেও ঈদযাত্রায় গাড়ি আর মানুষের জটে যে পথে ভোগান্তি নেমে এসেছিল, সেখানে এখন রাজ্যের নিরবতা।
ঈদের আগে বাড়ি ফেরার শেষ দিন উত্তরে যাওয়ার এ পথ হারিয়েছে তার চিরচেনা রূপ। তবে এতে স্বস্তি ফিরেছে ঘরমুখোদের মনে। পথের দুর্ভোগ এড়াতে যারা বুধবার বাড়ি ফিরছেন, তাদের যাত্রা অনেকটাই ‘ভোগান্তিহীন’।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ বলেন, “বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তেমন গাড়ি নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে।”
বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘুরে দেখা গেছে- রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোল চত্বর এলাকায় তেমন গাড়ি নেই। উত্তরবঙ্গের দিকে কোনো গাড়িও ছাড়তে দেখা যায়নি। হঠাৎ হঠাৎ দুই-একটা গাড়ি দ্রুতগতিতে নজরের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এ মহাসড়কে যাত্রীও নেই। হাতেগোণা কয়েকজন কাঁধে-হাতে ব্যাগ নিয়ে খোলা ট্রাক আর পিকআপ ভ্যানে করে বাড়ি যাচ্ছেন।
এই মহাসড়কে প্রতিবছরই ঈদে আগে ঘমেুখোদের চিরচেনা ভিড় থাকে। মঙ্গলবার চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল এ মহাসড়ক ধরে উত্তরবঙ্গগামী মানুষজনকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে প্রখর রোদ আর যানজটের মধ্যে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের।
পরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রেখে সেতু একমুখী করে উত্তরবঙ্গের দিকে পরিবহনগুলো ছেড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়কে চাপ কমে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরপর দুবার দুই ঘন্টা করে পশ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখা হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
ওসি আলমগীর আশরাফ বলেন, “বুধবারে ঈদ হবে এইটা ভেবে এবং সকল প্রতিষ্ঠান আগেই ছুটি হয়ে যাওয়ায় লোকজন আগে থেকেই বাড়িতে যেতে শুরু করেছিল। তবে মঙ্গলবার গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শ্রমিকরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বেড়েছিল।
“আজকে বাড়ি যাওয়ার তেমন মানুষ নেই। যারা যাওয়ার তারা চলে গেছে। ফলে মহাসড়কে তেমন গাড়ি নেই।”