Published : 02 Jun 2025, 08:18 PM
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এক হাজতি মারা গেছেন। পরিবারের দাবি, শারীরিক নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলার মো. ফখরুদ্দিন।
মৃত মহিরুল ইসলাম (৪০) উপজেলার কুড়ালগাছি গ্রামের প্রয়াত আকবর আলীর ছেলে।
এর আগে রোববার বিকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
জেলার মো. ফখরুদ্দিন বলেন, “রোববার বিকাল ৫টার দিকে মহিরুলকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান মহিরুল। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
ময়নাতদন্ত এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জেলার।
গ্রেপ্তারের পর শারীরিক নির্যাতনের কারণে মহিরুল মারা গেছে বলে দাবি স্বজনদের। মনিরুলের বড় ভাই সুবার আলীর অভিযোগ, “দর্শনা থানায় থাকা অবস্থায় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ কারণেই সে মারা গেছে। তাকে যখন পুলিশ বাড়ি থেকে নিয়ে আসে তখনও সুস্থ ছিল।”
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমির বলেন, “মহিরুল একটি মাদকদ্রব্যের মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়।
“গ্রেপ্তারের আধাঘণ্টার মধ্যে কাগজপত্র প্রস্তুত করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।”