Published : 07 Jun 2025, 10:11 PM
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সমন্বয় কমিটি গঠনের মাত্র দুই দিনের মধ্যে দুই নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন রিফাত আতিক ও সাজ্জাদ খান।
বুধবার এই কমিটির অনুমোদন দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
কমিটিতে মো. আশরাফ শেখকে করা হয়েছে প্রধান সমন্বয়কারী। যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে দুজনকে এবং বাকি ১৪ জনকে রাখা হয়েছে সাধারণ সদস্য হিসেবে। কমিটি আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
পদত্যাগকারী রিফাত আতিক তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “সদ্যঘোষিত এনসিপি ভাঙ্গা উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় এবং সজ্ঞানে পদত্যাগ করছি!
“আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম বিবেকের কারণে। কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আমার ইচ্ছা নেই। আমি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি প্রকল্পে কাজ করি। আমার পরিবারের সদস্যরাও সরকারি চাকরিতে যুক্ত। এ কারণে আমার পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আমার সঙ্গে এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কোনো যোগাযোগ না করেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। আমি যে এনসিপির নেতা হব, তা আমি জানতাম না। কমিটিতে নাম দেখার পরই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সাজ্জাদ খান ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আমি এই কমিটি বয়কট করলাম এবং আমার নাম এই কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কেন্দ্রের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের বলতে চাই যে, কমিটিতে বৈষম্য আছে, বিপ্লবীদের বাদ দিয়ে তেলবাজদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
এ ব্যাপারে সাজ্জাদ খান বলেন, “এই কমিটির দায়িত্ব শুধু একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা। ভাঙ্গার আন্দোলনে যারা সংগ্রামী ছিলেন, সেই বিপ্লবীদের জায়গা দেওয়া হয়নি সমন্বয় কমিটিতে। বিপ্লবীরা না থাকলে বিপ্লবীদের খুঁজে বের করবে কীভাবে? তাই আমি অভিমান করে পদত্যাগ করেছি।”
এ প্রসঙ্গে এনসিপির ফরিদপুর জেলার কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয় কমিটির অন্যতম নেতা সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, “ওরা দুজনই তাদের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছে, তাছাড়া কেউ যদি রাজনীতি করতে না চায়, সেটা তো তার নিজস্ব ব্যাপার।”