Published : 25 Sep 2024, 07:24 PM
শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৩০ বছরের সাজা পাওয়া এক কয়েদীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার চৌরাস্তা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক।
গ্রেপ্তার আহম্মদ আলী (৬৪) উপজেলার বাঁশকান্দা গ্রামের প্রয়াত হাবিল উদ্দিনের ছেলে। ধর্ষণ মামলায় আদালত তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে; যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাবাসে থাকতে হবে। রায়ের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
র্যাব-১৪ থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ অগাস্ট বিকালে শেরপুর জেলা কারাগারে কয়েক হাজার দুষ্কৃতকারী আক্রমণ করে বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর এবং সাজা পাওয়া ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার পাঁচ শতাধিক বন্দীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
এ ঘটনার পর শেরপুর জেল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসকের সরবরাহ করা পলাতক হাজতি ও কয়েদীদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মেজর আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক দল আহম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে র্যাব জানায়, ঘটনার দিন রাজ্জাক অন্য বন্দীদের সঙ্গে কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পরে শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকেন তিনি।
রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন:
শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৫ আসামি গ্রেপ্তার
শেরপুর কারাগার সচল হয়নি দেড় মাসেও, পলাতক ৪০০ আসামি