Published : 14 Jun 2025, 12:31 PM
টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর ময়মনসিংহে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে রোদের উত্তাপ কমায় স্বস্তি ফিরেছে প্রাণ-প্রকৃতিতে। তবে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকা ও বেশ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে এই বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারের পড়া বৃষ্টি থামেনি বেলা ১২টা পর্যন্তও।
ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতও হচ্ছে।
নগরের সানকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, সকাল ৮টা থেকেই পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়ে, শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। তবে সকাল ৯টার পর থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে দমকা হাওয়া।
বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “টানা কয়েকদিনের গরমে শিশু-বৃদ্ধসহ প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। তাই আজকের বৃষ্টি একেবারে হৃদয় শীতল করেছে।”
নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “কয়েকদিন ঘর থেকে বের হওয়া যায়নি প্রকট রোদের কারণে। বৃষ্টি আসার পর সবকিছু ঠান্ডা হয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে।
“অনেকে বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে শীতল হাওয়া উপভোগ করছে। টানা কয়েকদিনের এমন গরম খুব একটা আসেনি। তবে বৃষ্টি প্রকৃতিকে নতুন ভাবে সাজিয়ে দিল।”
নগরীর অটোরিকশা চালক শহীদুল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টিতে আমিও ভিজতেছি, যাত্রীরাও ভিজছে; এটা আলাদা একটা আনন্দ। গরমের কারণে না কোনো কিছু খাইয়ে, না ঘুমিয়ে শান্তি আছে। বৃষ্টিই সকল শান্তির মূল।”
মুক্তাগাছা শহরের বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে অন্ধকার ছিল সকাল থেকেই। তখনই ভাবছি বৃষ্টি আসবে, পরিবেশ ঠান্ডা হবে। তাই হয়েছে, বেলা বারোটায়, এখনো বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়নি।”
অন্যদিকে, নগরের বাঁশ বাড়ি কলোনির বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, “বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে যেমন স্বস্তি ফিরেছে তেমন ভোগান্তিও বেড়েছে আমাদের। টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে গেছে। বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি দ্রুত না কমলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।”
ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শুক্রবার ময়মনসিংহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাই গরমের পর সবাই স্বস্তির বৃষ্টি উপভোগ করছে। আগামী কয়েক দিনও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।