Published : 25 Aug 2024, 01:24 AM
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় একটি রাস্তা সংস্কারের কাজে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবি সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন। শৌলমারী ইউনিয়নের প্রায় চার কিলোমিটারের সড়কটি সংস্কার হওয়ায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
শনিবার দিনভর উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এ রাস্তাটি সংস্কার কাজ করা হয়। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ার কারণে গয়টা পাড়া, নতুন শৌলমারী, চরের গ্রাম, চর বোয়ালমারীসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানান, গয়টা পাড়া বিওপি ক্যাম্পের সামনের এই কাঁচা সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিলোমিটার। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যেত। তখন মানুষকে হেঁটে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হত। এতে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ অসুস্থ মানুষদের যাতায়াতে ভীষণ ভোগান্তিতে পড়তে হত।
শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানুষকে। সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। আমরা গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিজিবির সার্বিক সহযোগিতায় দুর্ভোগ লাঘবে মাটি ফেলে চলাচল স্বাভাবিক করেছি।”
এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি চালক আয়নাল হক বলেন, “গতকালও এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে পারিনি। আজ থেকে গাড়ি চালানো যাচ্ছে। যারা এই কাজ করে দিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।”
এলাকার বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, “এই রাস্তায় আগে চলাচল করা যেত না। বিজিবি, ছাত্রসমাজ ও গ্রামবাসী মাটি ফেলে যাওয়া-আসার উপযোগী করেছে। আমরা সরকারের কাছে এই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।”
গয়টা পাড়া বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার এ বি সিদ্দিক বলেন, “স্থানীয় মানুষদের কষ্ট লাঘবের জন্য রাস্তাটি মেরামতের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সবার সার্বিক সহযোগিতায় রাস্তাটি মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হছে। এমন মহৎ উদ্যোগে এলাকাবাসী খুবই আনন্দিত। রাস্তাটি এখন যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। রাস্তাটি স্থায়ী মেরামতের জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।”
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, “এই রাস্তা সংস্কারে আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”