Published : 25 Nov 2024, 10:59 PM
ছয় বছর আগে আটক-নির্যাতনের অভিযোগে বরিশাল মহানগর পুলিশের সে সময়ের সহকারী কমিশনার, থানার ওসিসহ ১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছেন এক জামায়াত কর্মী।
সোমবার বরিশাল মহানগর হাকিম আদালতে নালিশিটি করা হয় বলে বেঞ্চ সহকারী মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
মহানগর হাকিম নুরুল আমিন মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- সে সময়ের মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. রাসেল, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন, এসআই মো. মহিউদ্দিন, মো. ফিরোজ, মো. শামিম, দ্বিপায়ন, এএসআই নজরুল ইসলাম, মেহেদি হাসান, কনস্টেবল মো. ইউনুস, হুমায়ুন কবির, রাশেদুল ইসলাম ও নয়ন চন্দ্র সরকার।
মামলার বাদী কামাল হোসেন খান নলছিটি পৌর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০০২ সালে পৌর জামায়াতের আমির ছিলেন দাবি করে বলেন, বর্তমানে দলের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
মামলার নথির বরাতে বেঞ্চ সহকারী বলেন, ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর ওই জামায়াত নেতাকে আটক করে পুলিশ।
আটকের পর থানায় নিয়ে নির্যাতন করার কথা তিনি নালিশিতে উল্লেখ করেছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নালিশিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, চার মাস ২২ দিন তিনি কারান্তরীণ ছিলেন। এতে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বাদী কামাল হোসেন খান বলেন, “জেল থেকে বের হয়ে আদালতে মামলা করেছিলাম। কিন্তু আদালত ওই মামলা খারিজ করে দেয়।
এখন রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ায় ফের আদালতে মামলা করেছি।”
নলছিটি উপজেলা জামায়াতের আমির মো. জাকির হোসেন খান বলেন, “কামাল হোসেন নিজেকে জামায়াত নেতা পরিচয় দেন। তবে তিনি আমির ছিলেন না।”
এ বিষয়ে কামাল হোসেন খান বলেন, “আমি যখন জামায়াতের আমির ছিলাম, তখন তারা ছিলেন না। বর্তমানে জামায়াতের কর্মী হিসেবে কাজ করছি।”