Published : 08 May 2025, 03:17 PM
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীসহ নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের চরপক্ষী গ্রামে এ ঘটনায় দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান।
দগ্ধরা হলেন- চরআবাবিল ইউনিয়নের চরপক্ষী গ্রামে আব্দুর মান্নানের ছেলে ব্যবসায়ী নুরুল আলম (৪৫) ও তার স্ত্রী একই ইউনিয়নের গাইয়ারচর এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে রহিমা বেগম (৩০)।
নুর আলম বলেন, কয়েক বছর আগে রহিমাকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর প্রায় নয় লাখ টাকা ধারদেনা চরে দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। এই সুযোগে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের কানিবগার চরের কাদির সিকদারের সঙ্গে তার স্ত্রী রহিমা ‘পরকীয়ায়’ জড়িয়ে পড়েন।
২০২৪ সালে ২২ জুলাই দোকান থেকে ফিরে তিনি কাদির ও রহিমাকে একা ঘরে দেখতে পান। এ ঘটনা তিনি রায়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও জানান। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
আলম বলেন, “কোথাও বিচার না পেয়ে প্রচণ্ড রাগ হয়েছিল। দুপুরে বাড়িতে এসে দেখি কাদিরসহ তার লোকজন বসে আছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাগে-ক্ষোভে রহিমার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়েছি। নিজের গায়েও আগুন দিয়েছি।”
রহিমার ভাগনি লুবনা আক্তার বলেন, “পেট্রোল ঢেলে আমার খালার শরীরে আলম আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় ধস্তাধস্তি করায় খালার শরীরের আগুন আলমের গায়েও লাগে। তবে কি কারণে আগুন লাগানো হয়েছে তা জানি না।”
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, “দগ্ধ অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে নারীর শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ ও পুরুষের প্রায় ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।”
ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগেই দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”