Published : 29 Aug 2024, 10:59 PM
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিক দাবিদার এক ব্যক্তি।
তিনি পাইলটের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবহার করে হয়রানি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তোলেন।
তবে বিকালে একই জায়গায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, গোদাগাড়ীর চকনারায়ণপুর গ্রামে প্রায় দুই বিঘা ধানি জমি গত ১১ এপ্রিল তিনি বিক্রি করেন। রাজশাহী নগরের মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা নাসরিন সুলতানা জমিটি কিনে দখলে নেন। কিছুদিন পর ওই জমি খালেদ মাসুদ জোর করে ঘিরে নেন। প্রকৃত মালিক জমিতে গেলে তাদের হুমকি দেন; জমির বর্গা চাষিকে পুলিশ দিয়ে আটক করান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, “খালেদ মাসুদ হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে দিয়ে সবাইকে দেখে নেবেন। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে তার বন্ধু, তাকে বললে তিনি পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি দিয়ে সবাইকে ‘সাইজ করে’ দেব।”
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, পরে নাসরিন সুলতানা জমির দখল পাওয়ার জন্য স্থানীয় রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে আবেদন করেন। গ্রাম আদালত খালেদ মাসুদকে বসার জন্য নোটিশ পাঠালেও সেখানে তিনি হাজির না হয়ে উল্টো জমিতে কেউ গেলে তাকে প্রশাসন দিয়ে ঝামেলায় ফেলার হুমকি দেন।
এসবের কল রেকর্ড আছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আরও বলেন, “এ জমি নাসরিন সুলতানার নামে খারিজ হয়েছে। প্রকৃত মালিক যেন জমি ফিরে পান, তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে জমির ক্রেতা নাসরিন সুলতানার ভাই শাহিনুর রহমান ছিলেন।
তিনি দাবি করেন, পাইলট চারটি দাগে জমি কিনেছেন, কিন্তু এক দাগ থেকেই তিনি চার দাগের সমপরিমান জমির দখল নিয়েছেন। আর তারা যে দাগে জমি কিনেছেন, সেই দাগের জমিই দাবি করছেন।
এ ব্যাপারে বিকালেই খালেদ মাসুদ পাইলট রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি দাবি করেন, নাসরিন সুলতানা দালালের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে জমি কিনেছেন। প্রকৃতপক্ষে জাহাঙ্গীরের ভাগের জমি তিনি আগেই বিক্রি করেছেন। বাস্তবে তার কোনো জমি নেই।
হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে খালেদ মাসুদ বলেন, তার কেনা জমি রীতিমত ভূমি অফিস তার নামে নামজারি করেছে। তিনি খাজনাও পরিশোধ করেছেন।
তার দাবি, “জাহাঙ্গীর টাকা নিয়েছেন বলে নাসরিন সুলতানার পক্ষে সাজানো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন।”