Published : 08 Sep 2024, 01:43 AM
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার লালারচক সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাশের বাড়িতে যান রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির নেতারা।
সংগঠনটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ বলেন, শনিবার বিকালে স্বর্ণা দাশের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে তাদের বাড়ি জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামে যান তারা।
নিহত স্বর্ণা ওই গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে এবং জুড়ী নিরোদ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
গত ১ সেপ্টেম্বর কুলাউড়ার লালারচক সীমান্তের পাশে বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা দাশ (১৪) নিহত হন।
তার লাশ নিয়ে গেলে বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর বিএসএফ তা ফেরত দেয়।
শনিবার তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।
এ সময় সংগঠনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক বলেন, “দিল্লি বাংলাদেশকে ফিলিস্তিনের গাজা মনে করে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ৬০০ মানুষকে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বিএসএফ। সীমান্তে বিএসএফ যখনই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আমরা প্রতিবাদ করেছি। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের রোশানলে পড়ে আমরা স্বাধীনভাবে প্রতিবাদ করতে পারিনি তখন। স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে। ভারতের সকল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে হবে এবং সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফেলানী ও স্বর্ণা দাশের মত আমাদের আর কোনো বোনকে যেন বিএসএফ গুলি করে হত্যা করতে না পারে। বর্তমান সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে ভারতে বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালত দারস্থ হতে হবে।”
এ সময় স্বর্ণা দাশের বাবা পরেন্দ্র দাশ কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, “স্বর্ণা তার ভাইকে দেখতে ভারতে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত গেল মেয়ের লাশ।“
তিনি বলেন, “তারা যেতে না দিলে ধরে নিয়ে জেলে দিতে পারত। আইনে তার বিচার হত।”
এ সময় তিনি তার মেয়ে হত্যার বিচার চান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন, জাতীয় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য প্রীতম দাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ, রাষ্ট্রচিন্তা সদস্য মো. আরিফুল হক, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদস্য সাহেদ আহমেদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দিবাকর দাশ।
আরও পড়ুন: