Published : 21 May 2025, 01:50 AM
দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে বন্যহাতির আক্রমণে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে পৃথক স্থানে নিহত ব্যক্তিরা হলেন- গান্ধিগাঁও গ্রামের প্রয়াত আব্দুল হাকিমের ছেলে আজিজুল ইসলাম আকাশ (৪০) এবং বড় গজনী গ্রামের সোহান মারাকের ছেলে কৃষক এফিলিস মারাক (৪৫) ।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম হাতির আক্রমণে তাদের প্রাণ হারানোর তথ্য দিয়ে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টা ও সাড়ে ১০টার দিকে যথাক্রমে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বড় গজনী দরবেশ তলা এলাকায় এবং গজনী-বাকাকুড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বন্যহাতির আক্রমণে ওই দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন বলে জানান তিনি।
এদিন সন্ধ্যা থেকে একদল বন্যহাতি বড় গজনীর দরবেশতলা এলাকার একটি লিচু বাগানে হানা দেয়। এসময় স্থানীয়রা মশাল ও সার্চ লাইট জ্বালিয়ে হৈ-হুল্লোড় করে বন্যহাতির দলটি তাড়ানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে বন্যহাতির তাড়া খেয়ে সবাই দৌড়ে পালালেও আকাশ পা পিছিলে পড়ে যান। এসময় বন্যহাতি তাকে শুঁড়ে পেচিয়ে ও পায়ে পিষ্ট করে হত্যা করে।
অপরদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এফিলিসসহ স্থানীয় চার কৃষক বাকাকুড়া এলাকা থেকে বড় গজনীর দিকে আসছিলেন। এসময় শালবনে থাকা বন্যহাতির দল আকস্মিকভাবে তাদের ধাওয়া করলে অন্যরা দৌড়ে বাঁচতে পারলেও এফিলিসকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে ও পায়ে পিষ্ট করে মেরে ফেলে বন্যহাতি।
এলাকাবাসীরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে ২৫-৩০টি বন্যহাতির দল ঝিনাইগাতীর গজনী ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান করে বোরো ধান, কাঁঠাল ও লিচুর বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে হানা দিচ্ছিল।
রাংটিয়ার ওই রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, নিহত দুজনের পরিবারের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করলে নিয়মানুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।