Published : 29 May 2025, 03:07 PM
মাগুরা সদর উপজেলার একটি ছাত্রাবাসে ‘টর্চারসেলের’ সন্ধান পাওয়া গেছে; যেখান থেকে পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদের সেখানে আটকে রাখা হয়েছিল বলে ভাষ্য পুলিশের।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন সেনা সদস্যরা।
বুধবার রাতে উপজেলার সাজিয়াড়া গ্রামের ওই ছাত্রাবাস থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানান মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী।
আটক ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত মাগুরা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ ছাড়া তিনি ওই ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজেল হোসেনের বড় ভাই।
উদ্ধার পাঁচ ব্যবসায়ী হলেন- রাজীব সরদার, হৃদয় সরদার, বাবু শেখ, ওসমান শেখ এবং রিয়াদ ইসলাম। তারা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ওই পাঁচ ব্যবসায়ী নানা ধরনের বৈদ্যুতিক পণ্য ফেরি করে বিক্রি করতেন। পণ্য বিক্রি করতে ২১ মে তারা মাগুরা এসে শান্তর খপ্পরে পড়েন।
ওসি আইয়ুব আলী বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্ত তাদেরকে কৌশলে সাজিয়াড়া গ্রামের ওই ছাত্রাবাসে নিয়ে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দাবি করা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শান্তসহ আরও কয়েকজন যুবক সারারাত ধরে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।”
গোপন খবর পেয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে মাগুরা ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা এস এম ছাত্রাবাস থেকে ওই পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার এবং একজনকে আটক করেন বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসী জানান, ওই ছাত্রাবাসটির মালিক মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দা মহসিন। তিনি সাজিয়াড়া গ্রামের হুরাইরার মাধ্যমে ছাত্রাবাসটি পরিচালনা করে আসছিলেন। গত বছরের ৫ অগাস্টের পর ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত ছাত্রাবাসের ভাড়াটিয়াদের তাড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর থেকে সেখানে মাদকের আড্ডা বসত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বুধবার রাতে ওই ছাত্রাবাস থেকে ব্যবসায়ীদের উদ্ধার ছাড়াও সেখানে নানা ধরনের মাদকদ্রব্য পায় সেনাবাহিনী। পরে রাতেই তাদেরকে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।
ওসি আইয়ুব আলী বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।