Published : 08 Jun 2025, 04:41 PM
ঘোষণার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি বর্জ্য অপসারণ করতে পারেনি ময়মনসিংহ সিটি কর্তৃপক্ষ।
ঈদের দিন শনিবার রাত ৮টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কথা থাকলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণে কাজ করতে দেখা যায় সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের।
নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোরবানির বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঈদের দিন বেলা ৩টার দিকে নগরীর টাউন হল তৈমর টাওয়ারের সামনে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের সচিব এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী সুমনা আল মজীদ।
য় নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ১২শ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৩৩টি ওয়ার্ডের বর্জ্য রাত ৮টার মধ্যে অপসারণ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
অভিজাত কয়েকটি এলাকার বর্জ্য অপসারণ করা হলেও বেশির ভাগ এলাকার বর্জ্য মানুষের বাসা-বাড়ির সামনে এবং রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে দুর্গন্ধে বাসাবাড়ির মানুষ ও পথচারিকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
রোববার সকালে নগরীর সানকিপাড়া এলাকায় সিটি করপোরেশনের ৫-৭জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বর্জ্য অপসারণ করতে দেখা যায়।
সেখানকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, “ঈদের দিন রাত ৮টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার কথা থাকলেও রোববার সকাল ১১টা পর্যন্ত সানকিপাড়ার রাস্তাঘাটে বর্জ্য পড়ে ছিল।
“এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যদিও সকালে এসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণ করেন।”
প্রতি বছরের মত এবারও নগরীর চামড়া গুদাম এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী ৩০-৪০ হাজার চামড়া ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনন। চামড়া থেকে ছাড়ানো উচ্ছিষ্ট, শিং, লেজ থেকে শুরু করে পঁচাগলা চামড়া পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তার পাশে।
পথচারি আবুল হাসেম বলেন, “চামড়া থেকে পানি রাস্তার মাঝখানে চলে এসেছে। এতে চরম দুর্গন্ধ হচ্ছে। সিটি করপোরেশন কোন দায়িত্বই ঠিকভাবে পালন করছে না। তারা দায়িত্বপালন করলে রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত চামড়ার উচ্ছিষ্ট রাস্তায় পড়ে থাকতো না।”
রাজিয়া ইসলাম নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “রাস্তার ফুটপাতের ওপর স্তূপ করে চামড়া সংরক্ষণ করায় দুর্গন্ধে বাসাবাড়িতে টেকা যাচ্ছে না। বিশেষ করে বাচ্চাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।
“অন্তত সিটি করপোরেশন যদি ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতো তাহলেও আমাদের ভোগান্তি কম হতো।”
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী সুমনা আল মজীদ বলেন, ঈদের দিন রাত ৮টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়ে আমি রাত ১০টা পর্যন্ত সরেজমিন থেকে কাজ করেছি। তারপরেও দুই এক জায়গায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে, তবে চেষ্টা করছি। চামড়াগুদামের ব্যবসায়ীরাই চাচ্ছিল, ঈদের দুইদিন পর যেন আমরা বর্জ্য অপসারণ করতে যাই।
“দুপুরেই সেখানে আমাদের লোকজন পাঠিয়ে বর্জ্য অপসারণ করছি। তবে সকল কাজেই আমি আত্মরিক আপনাদের আরেকটু সহযোগিতা পেলে দায়িত্ব সুন্দর ভাবে পালন করতে পারব।”