Published : 30 Apr 2025, 03:37 PM
বগুড়ায় পাঁচ বছর আগে আজগর আলী পিয়াল নামের এক অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আবু হানিফ এ রায় দেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান।
এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান এবং একই এলাকার দুলু খানের ছেলে রাশেদ খান।
তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নুরুন্নবী মুন্না দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে আদালত পলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান।
মামলার বরাতে মোসাদ্দেক বলেন, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মহিদুল ইসলাম খোকার ছেলে পিয়াল ২০২০ সালের ২১ মার্চ অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। ২৮ মার্চ বিকালে শহরতলির বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার কবরস্থানে তার গলিত লাশ পাওয়া যায়। লাশ শনাক্তের পর তার বাবা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত চলাকালে হত্যায় জড়িত সন্দেহে রাশেদ ও হান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে হত্যার দায় স্বীকার করে জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেন, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে পিয়ালকে তার অটোরিকশায় বড় কুমিড়া গ্রামে বিএড কলেজের পেছনে বাঁশবাগানে নিয়ে যান। সেখানে তারা মাদক সেবন করেন। এক পর্যায়ে তারা ইট দিয়ে পিয়ালের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান। এরপর লাশ পাশের পাকা কবরে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। ওই রাতেই রিকশাটি ঘোড়াঘাটে নিয়ে বিক্রির জন্য মুন্নার কাছে রেখে আসেন।
পরে তাদের কাছ থেকে পিয়ালের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রিকশা ক্রেতা নুরুন্নবী মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মোসাদ্দেক জানান।