Published : 24 May 2025, 08:45 PM
সাঁওতালসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ, বিকাশ, অধিকার ও বৈচিত্র্য রক্ষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি নয় আদিবাসী পরিচয়ের স্বীকৃতির দাবিতে গাইবান্ধায় আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব হয়েছে।
শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড ও আর্টিকেল নাইনটিনের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘অবলম্বন’ এ উৎসবের আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহফুজার রহমান, উদীচী গাইবান্ধা জেলা সংসদের সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, এনজিও বিষয়ক কনসালটেন্ট সালমা পারভীন এবং ইয়ুথ লিডার স্মরণিকা মার্ডি বক্তব্য দেন।
সভাপতিত্ব করেন ইয়ুথ লিডার ললিতা কিস্কুর। স্বাগত বক্তব্য দেন অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী। সভা পরিচালনা করেন শিরিন আকতার।
জহুরুল কাইয়ুম বলেন, “বহু সংস্কৃতি, বহু ভাষা আর বহু জাতির সম্মিলনে বাংলাদেশ একটি জাতি-বৈচিত্রের দেশ। এ দেশের পাহাড় থেকে সমতলে ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বসবাস করেন। যাদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি।
“তারা সংখ্যায় ৪০ লক্ষাধিক; যা মূল জনগোষ্ঠীর প্রায় দুই ভাগ। এদেশের বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংখ্যাগুরু বাঙালিদের পরিচয় নেই বললেই চলে। মূলধারার জনগোষ্ঠীর অবহেলা এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের অভাবে আদিবাসীদের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি আজ প্রায় বিপন্ন। এর মধ্যে কিছু কিছু বিলুপ্তও হয়ে গেছে।”
বিপন্ন এই সংস্কৃতি উদ্ধার এবং বিকাশে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই সংস্কৃতিকর্মী।
প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, পাহাড় থেকে সমতলে বসবাস করা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া না হলে তাদের স্বতন্ত্র ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে।
‘আদিবাসী’ জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় বাঙালি জনগোষ্ঠীকে আরও সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভা শেষে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
এর আগে সকাল ১০টায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন হাতে তিন শতাধিক সাঁওতালসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নারী-পুরুষরা শহরে একটি শোভাযাত্রা বের করেন।