Published : 05 Jun 2025, 02:06 PM
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। সড়ক পথের ন্যায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথেও ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘাটে মানুষের চাপ বাড়তে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে দৌলতদিয়া ছেয়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।
তবে লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, সকালে থেকে মানুষের চাপ বাড়ায় কয়েকজন বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পারাপার হচ্ছে। তবে কোনো সমস্য হচ্ছে না।
লঞ্চে যাতে কেউ অতিরিক্ত যাত্রী নিতে না পারে সে জন্য ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে বলে জানান শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন।
দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ‘মেসার্স ইসলাম নৌ পরিবহন এম ৩৯৩৫ লঞ্চে’ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ জন থাকলেও ১৩০ থেকে ১৪০ জনের মত যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ছেড়েছে। এ ছাড়া নাবিল-১ রুমি এন্টারপ্রাইজ, তাজমহল-১ রুমি এন্টারপ্রাইজ, একতা এন্টারপ্রাইজ নামের লঞ্চের পেছনের অংশে টয়লেটের ছাদেও যাত্রী দেখা গেছে।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাট পরিচালক পান্নালাল নন্দী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সবসময় বেশি যাত্রী পারাপার হচ্ছে না। যখন চাপ থাকে তখন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়েছে। তবে বেশি যাত্রী যাতে লঞ্চে না ওঠে সেজন্য প্রশাসন কাজ করছে।
সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা থেকে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট হয়ে ঝিনাইদহ যাচ্ছিলেন সাগর ইসলাম। তিনি বলেন, ফেরিতে সময় বেশি লাগবে, তাই লঞ্চে যাচ্ছেন। তিনি নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করেন। সামনে ঈদ, তাই চাপ বেড়েছে।
রাজবাড়ীগামী যাত্রী সোহাগ বলেন, “সকালে থেকে আবহাওয়া ভালো আছে। তাই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিলেও যাচ্ছি।”
মেসার্স ইসলাম পরিবহন লঞ্চের চালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, নদী শান্ত রয়েছে; তাই বেশি যাত্রী হলেও ভয় নেই।
ইউএনও জাকির হোসেন জানান, একটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করার দায়ে এক মালিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।