Published : 22 Aug 2024, 05:02 PM
ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে এবং ন্যায্য পানির হিস্যার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী সড়কে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি চলে তাদের ।
এ সময় ‘বন্ধু না শত্রু, শত্রু; হাসিনার বন্ধু, আমাদের শত্রু’; ‘তুমি কে আমি কে আবরার, আবরার, কে মেরেছে কে মেরেছে স্বৈরাচার’-এরকম বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক, শান্তির জন্য অপরিহার্য। কিন্তু এই সুসম্পর্ক হতে হবে দ্বিপক্ষিক। বিগত যে স্বৈরাচারী সরকার ছিলো তারা এই সম্পর্কের জায়গাটিকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে গিয়েছে।
“একইসঙ্গে বাংলাদেশকে ভারতের একটি অলিখিত কলোনিতে পরিণত করেছিল। এই জঘন্যতম কাজটি করেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে। আধিপত্যবাদকে মেনে নেওয়ার জন্য এই জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেনি।”
তিনি বলেন, “ভারতকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে আমাদের অশান্তিতে রেখে ভারতের শান্তিতে থাকার কোনো উপায় নেই। মোদি সরকারকে বুঝতে হবে-সে কি শেখ হাসিনার বন্ধু হয়ে থাকতে চায় নাকি বাংলাদেশের বন্ধু হয়ে থাকতে চায়।
“সে যদি শেখ হাসিনার বন্ধুত্বকে বেছে নেয় তাহলে তাকে বাংলাদেশের জনগণের শত্রুতাকে বেছে নিতে হবে।”
আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখার আলম মাসউদ বলেন, “ভারত এমন একটা রাষ্ট্র যার কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক নাই। মুসলিম, বৌদ্ধ এমনকি হিন্দু রাষ্ট্রের সাথেও তার সুসম্পর্ক নেই। এই স্বৈরাচারী সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রটি এদেশকে শোষণ করে আসছে দিনের পর দিন।
“তার অন্যতম শোষণের হাতিয়ার হল পানি। তাদের যে বাধগুলো রয়েছে তা খুলে দিয়েছে; আর তা ৩১ বছর পর পরিকল্পিতভাবেই ছেড়েছে। তাদের এই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে এদেশের তরুণ ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণের লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, “আমরা যেহেতু বাঁচতে শিখেছি, আমরা বাঁচার মতোই বাঁচবো। ২৪-এর এই ছাত্রসমাজ ভারতের আধিপত্যকে মেনে নিবে না। যে অধিকারের জন্য মাঠে নেমেছি, সেই অধিকার আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরবো।”
আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন কলেজ স্কুল থেকে আসা প্রায় সাতশ আন্দোলনকারী অংশ নেয়।