Published : 26 Aug 2024, 12:50 AM
মাইকে ঘোষণা দিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার সকালের এ হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখনের স্ত্রী জোবায়েদা খানম, বড় ভাই মো. ফারুক হোসেন ও ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান টুটুল আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার দুলারহাট থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। তবে নৌবাহিনী না আসায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।”
ইকবাল হোসেন লিখন একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে পাশ করে তিনি আওয়ামী লীগের যোগ দেন বলে স্থানীয়রা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে কয়েকশ মানুষ মাইকিং করে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা করতে আসে। তখন চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ছিলেন না। হামলাকারীরা সেখানে ভাঙচুর করে কাছেই চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়েও হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
হামলায় চেয়ারম্যানের পরিবারের তিন সদস্য আহত হন। পরে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না। পারিবারিক কাজে ভোলা সদরে অবস্থান করছিলেন।
ঘটনার জন্য নীলকমল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নওরোজ বাবুলকে দায়ী করে চেয়ারম্যান বলেন, “তার নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু দুস্কৃতকারী বাড়িতে বিভৎস হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। তারা ঘরে থাকা টাকা, সোনার গহনাসহ মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে যায়।”
তবে নীলকমল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নওরোজ বাবুল হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অবৈধ সরকারের বিনা ভোটের চেয়ারম্যানকে পরিষদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলতে আমরা তার বাড়ি সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে যাই। তখন তার বাড়ি থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র আর্তকিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের সাত-আটজন নেতাকর্মী আহত হন।”
এ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন দৈনিক মানবজমিন এর স্থানীয় প্রতিনিধি সাহাবুদ্দিন শিকদার।