Published : 14 May 2024, 12:52 PM
“মাত্র তিনশ বর্গফুটের একখণ্ড ছাদে ২৫টি আমের চারা বুনেছিলাম। এরইমধ্যে ছাদবাগানের প্রতিটা গাছে দুই’শর বেশি আম থোকায় থোকায় ঝুলছে। এক বছরের মাথায় এমন ফলন দেখে আমি উৎফুল্ল।” বলছিলেন ছাদ বাগানের মালিক শেরপুরের আলী হোসেন।
শেরপুর শহরের সিংপাড়া এলাকার আলীর দোতলা বাসার ছাদে ঢুকতেই চোখে পড়বে ফজলি, আম্রপালি, ন্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগোসহ ছয় থেকে সাত প্রজাতির আমের গাছ।
আম ছাড়াও মালটা, কমলা, আনার, লেবু ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত দেখে চোখে জুড়াবে।
পেশায় ব্যবসায়ী আলী হোসেন নয়ানী বাজার এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকান চালান। শখের বসে ছাদে গাছ লাগালেও এখন এ ছাদবাগান তার কাছে সন্তানের মত। বাগনের ফল-সবজি ফললে তাকে আনন্দ দেয়। এখন বাগান থেকে ভালো ফলনের আশা তার।
বাগানের প্রতিটি আম গাছেই থোকায় থোকায় আম ঝুলতে দেখলেও সৌন্দর্য বাড়িয়েছে ব্যানানা ম্যাংগো প্রজাতির আম। এখনই প্রতিটা ব্যানানা আমের ওজন প্রায় এক কেজি; এগুলো পরিপক্ক হলে ওজন দুই কেজি পর্যন্ত হবে বলে বাগান মালিকের ভাষ্য।
বাগানের শুরু কীভাবে? জানতে চাইলে আলী হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেকটা শখের বসেই গত বছর ছাদে আমের চারা রোপন করেছিলাম। এক বছরের মাথায় এমন ফলন হবে ভাবতেই পারি নাই। এখন আমার বাগান আমি আমার আর পরিবারের সদস্যরা নিজ হাতে পরিচর্যা করি। এটা আমার সন্তানের মত।
“এই বাগানে আমি কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করি না। শুধুমাত্র গোবর-সার ব্যবহার করা হয়েছে।”
ছাদবাগান করার পর থেকেই কোনো সবজি কিনে খেতে হয় না বলে জানান আলী। নিজের তৈরি আম বাগান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমগুলো পাকলে পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিলিয়ে দিব।”
আলীর ছাদ বাগানের বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক সুকল্প দাস বলেন, “আমরা বরাবরই ছাদ বাগানকে উৎসাহিত করি। শহরের অনেকেই এখন ছাদ বাগান করে তাদের নিজেদের ফল ও সবজির চাহিদা মেটাচ্ছেন।
“সম্প্রতি দেশে ব্যানানা ম্যাঙ্গো প্রজাতির আম বেশ সাড়া ফেলেছে। এ জাতের আমের প্রতিটার ওজন দুই কেজির ওপরে হয়। স্বাদও হয় অতুলনীয়।”