Published : 24 Jul 2024, 06:19 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতার নামসহ অজ্ঞাত আরও দুই সহস্রাধিকের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় চারটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মালায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ জানান, সব কয়টি মামলার অভিযোগ হল- বেআইনি জনতাবদ্ধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি কাজে বাধাদান ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ।
তিনি বলেন, ১৯ জুলাই এসআই গোলাম রসুল বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় করা মামলার এজাহারে কোটা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রধান সমন্বয়ক মো. তৌকিরের নামসহ ২৫ জনের নামোল্লেখ এবং আরও দেড় হাজার থেকে দুই হাজার অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
“এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।”
তিনি বলেন, “এদিকে ২০ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মুস্তফিজুর রহমান বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধাদান, নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা ও হাতবোমা রাখার অভিযোগে মামলা করেন। এজাহারে ১০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে আড়াইশ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ বলেন, ২০ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধাদান, নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা ও হাতবোমা রাখার অভিযোগে এজাহারে ১৪ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৭৫ জন থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
“এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।”
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৮ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানায় চৌড়হাস মোড়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আরও একটি নাশকতার করা মামলা করা হয়।
তিনি বলে, এ মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালতে শুনানি শেষে সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেওয়া হয়।