Published : 31 Dec 2024, 05:46 PM
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় প্রতিবেশীর বাসার ওয়্যারড্রোব থেকে নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রতিবেশীকে।
মঙ্গলবার ভোরে শহরের পঞ্চবটি এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন মিয়া।
নিহত তিন বছর বয়সী শিশু সাহাল উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার কাতার প্রবাসী সানাউল্লাহ বাবুর ছেলে। মা মোমেনা বেগমের সঙ্গে ওই বাসায় থাকত শিশুটি।
ওসি মো. শাহিন মিয়া বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সাহালের খোঁজ মিলছিল না। কোথাও না পেয়ে পরে এলাকায় মাইকিং ও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির মা।
এদিকে শিশুটি নিঁখোজের সময় থেকে ওই ভাড়া বাসার কেয়ারটেকার ও প্রতিবেশী হাছান মিয়ার (৩৮) বাসাটিও তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। বন্ধ পাওয়া যায় হাছানের মোবাইলও।
পরে পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় ভোরে পুলিশের সহায়তায় বাসাটির তালা ভেঙে তল্লাশি চালানো হয়। তখন কক্ষের ভেতরে ওয়ারড্রোবের ড্রয়ারে কাপড়ে মোড়ানো শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।
পরে সকালেই এক আত্মীয়ের বাসা থেকে হাছান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, হাছান মিয়া শিশুটির মা মোমেনা বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মোমেনা তাতে রাজী না হওয়ায় শত্রুতা করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন হাছান।
শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুটির দাদী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে হাছানকে আসামি করে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা করেছেন বলেও জানান ওসি।