Published : 02 Aug 2024, 01:51 PM
মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে খাগড়াছড়িতে দুইদিন ধরে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে চেঙ্গী নদীর পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ি সদরের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার দ্বিতীয় শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।”
এর মধ্যে শুক্রবার ভোর থেকে নদীর পানি বাড়তে থাকায় সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, গঞ্জপাড়া, ঠাকুরছড়াসহ চেঙ্গী পাড়ের নিম্নাঞ্চলের মানুষের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে।
দুই মাসের ব্যবধানে তিনবার পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নদী ও ছড়ার পাড়ে বসবাসকারীরা।
খাগড়াছড়ির পৌর শহরের বাসিন্দা আয়েশা আক্তার বলেন, “আমার ঘর বাড়ি তলিয়ে গেছে। ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে নাপ্পি বাজারে এসে বসে আছি। কোনো সহযোগিতা পাইনি।”
আরেক বাসিন্দা মরিয়ম বেগম বলেন, “এই নিয়ে তিন বার ঘর ডুবছে। ভোর থেকে পানি ঢোকা শুরু হয়েছে। ঘর-বাড়ি সব শেষ। কোনো সহযোগিতা আগেরবারও পাইনি।"
শহরের আরেক বাসিন্দা তোফায়েল মিয়া বলেন, "হঠাৎ পানি ঢুকে ঘরের জিনিসপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি না নামলে পানি কমারও সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি বাড়লে দুর্ভোগও আরও বাড়বে।"
এদিকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দীঘিনালার মাইনী নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে দীঘিনালার মেরুং ও কবাখালীর নদী পাড়ের কৃষি জমি।
এছাড়া ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত মানুষদের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।