Published : 18 Jun 2025, 02:43 PM
নরসিংদীর পলাশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় এবং ‘জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত’ হয়ে এক বিএনপি নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জেলা বিএনপিরি সহ-সাংগঠনিক ফজলুল কবির জুয়েলের মেজো ভাই হুমায়ুন কবির।
এর আগে গত রোববার বিকালে পলাশ বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ নেতাকর্মী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয়ভাবে জুয়েল ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ায় এবং প্রতিপক্ষ পলাশ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন ও বিএনপি নেতা আলম মোল্লার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় জুয়েলের ওপর হামলা চালানো হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা হামলা করার অভিযোগ করেছেন বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন ও আলম মোল্লা।
এ ঘটনায় পলাশ থানায় দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির বলেন, তার ভাই জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ৩৬ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি ঘোড়াশাল পৌরসভার একজন মেয়র পদপ্রার্থী। সে জন্য তিনি এলাকায় খেলাধুলাসহ অসহায় মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে রাজনীতি করছেন।
রোববার বিকালে জুয়েল পলাশ বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির প্রচার ও ঈদ পরবর্তী গণসংযোগ চালাতে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা আলম মোল্লার নেতৃত্বে পাপন বাদশা, আরিফ, আমান উল্লাহসহ ১০০-১৫০ জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী তার ওপর হামলা চালান।
এ সময় তারা এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ও গুলি করেন। এতে জুয়েলসহ তার একাধিক সমর্থক গুরুতর আহত হয়। পাশাপাশি জুয়েলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাতিজা তৈয়ব আলী পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া পথচারী সোহেল, মিঠু ও ছাত্রদল কর্মী ইসমাইলও গুলিবিদ্ধ হয়।
মূলত ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা জুয়েলকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে দাবি তার মেজো ভাই হুমায়ুনের।
হুমায়ুন বলেন, “জুয়েল আত্মরক্ষার্থ পলাশ মোড় সংলগ্ন মসজিদে অবস্থান করলে সেখানে গিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। এ সময় তার ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে নগদ টাকা লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা। জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
এ ঘটনায় জুয়েলের শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগম বাদি হয়ে আলম মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
ওসি মনির হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।