Published : 18 Jan 2025, 10:12 PM
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিক কমেছে বলে জরিপের বরাতে দাবি করা হয়েছে।
শনিবার সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) এর কর্মশালায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
গাজীপুরের টেকনগরপাড়ায় একটি কনভেনশন সেন্টারে তৈরি পোশাক শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা এবং কিভাবে গার্মেন্টস শিল্পের নারী শ্রমিকদের জীবন-ঘনিষ্ঠ কাহিনী গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সি-ক্যাব ও ১৪টি সহযোগী সংস্থা ‘অপরাজিতা’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী গার্মেন্টস কর্মীদের ক্ষমতায়নে কাজ করছে।
সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, আইএলও-২০১৯ এবং বিবিএস- ২০১২ এর সার্ভে অব মেনুফ্যাকচারিং ইন্ড্রাস্ট্রিজের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নব্বইয়ের দশকে যেখানে ৮০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক নারী ছিলেন, এখন তা ৫০-৬০ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের মতো অন্য কোনো খাতে এত বিপুল সংখ্যক নারীদের কাজের সুযোগ নেই। পুরুষরা চাকরি হারালে বিকল্প কাজ পায়, কিন্তু নারীদের জন্য সেই সুযোগ সীমিত। পোশাক খাতে নারী শ্রমিক কমে গেলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটা উদ্বেগজনক।”
বক্তারা বলেন, প্রতিবেদন তৈরির সময় নারীদের শুধু ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে, তাদের সফলতার গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ নেন এবং পোশাকখাতে নিয়োজিত নারীদের জীবনমান উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সি-ক্যাবের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ফারজিয়া আহমেদ ও হাসান জেমস ‘অপরাজিতা’ প্রকল্পের কার্যক্রম এবং নারী কর্মীদের ওপর পরিচালিত গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন।
কর্মশালার শেষে সি-ক্যাব নারী পোশাক কর্মীদের নিয়ে গভীর বিশ্লেষণী প্রতিবেদন তৈরির জন্য ১০ সাংবাদিককে ফেলোশিপ প্রদানের ঘোষণা দেয়।
সি-ক্যাব ২০১৮ সাল থেকে নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কমিউনিকেশন অফিসার আখিউজ্জামান মেনন।