Published : 13 Jun 2025, 05:52 PM
পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সড়কের ন্যায় নৌপথেও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকামুখী লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রী চাপ বেড়েছে।
শুক্রবার সকালের দিকে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম থাকলেও বিকালের পর থেকে পাটুরিয়া ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট এবং লঞ্চঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে কিছুটা ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাট পরিচালক পান্নালাল নন্দী বলেন, দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ আগের চেয়ে বেড়েছে। এ নৌপথে ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে। আর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। নির্বিঘ্নে যাত্রী পারাপারে সর ধরনের চেষ্টার করছেন তারা।
বিআইডব্লিউটিসির উপ মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। আর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ছয়টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে।
যাত্রীর চাপ বাড়লেও ফেরির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না; এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে যানবাহন পারাপার হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে গাজীপুরে কর্মস্থলে ফিরছেন ইমরান হোসেন। ‘এনায়েতপুরী’ ফেরিতে করে ঘাট পার হওয়ার সময় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট পাইনি, তবে গরমে অতিষ্ঠ আমরা। গরমের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে।”
ফরিদপুর থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকার সাভারে যাচ্ছিলেন সাদিয়া বেগম। তিনি বলেন, “ফরিদপুর থেকে ভেঙে ভেঙে (কয়েকটি গাড়িতে) ঘাট পর্যন্ত আসছি। গরমে আমাদের অবস্থা খারাপ। ফেরিতে অনেক বেশি লোক, গরমও বেশি লাগছে।”
এদিকে ফেরি ও লঞ্চঘাটে আসা-যাওয়ার পথে ছোট-বড় যানবাহনে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
ঘাট পার হওয়ার পর কাটা গাড়িতে (লোকাল গাড়ি) করে বাস স্ট্যান্ডে যাবেন ঝিনাইদহ থেকে আসা যাত্রী সাব্বির। তিনি বলেন, “অন্য সময় ৩ নম্বর ঘাট থেকে ইজিবাইকে বাস কাউন্টারে যেতে ভাড়া লাগত ১০ টাকা। অথচ একটা ছোট বস্তা থাকায় ভাড়া চাচ্ছে ৪০ টাকা। ২০ টাকা করে দিতে চেয়েছি। কিন্তু তারপরও যাচ্ছে না।”
ইজিবাইক চালক সেলিম বলেন, “যাত্রীর সঙ্গে বস্তা থাকায় ৪০ টাকা চাইছি। তবে ভাড়া ২০ টাকা করে নিচ্ছি।”