Published : 08 Jan 2025, 06:58 PM
গাজীপুরে বকেয়া পাওনার দাবিতে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিক্ষোভ করেছেন।
বুধবার বিকাল ৪টায় গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকেরা। এ সময় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী (সিনিয়র এক্সিকিউটিভ) আমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থে আছে, শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধের কথা। তবে আমরা যে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেছি তার এক টাকাও আমরা পাইনি।
“আমাদের শ্রমিকরা না খেতে পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। আমরা আমাদের নায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। আর কোনো টালবাহানা চাই না, আমরা আমাদের পাওনাদি চাই।”
ডার্ড কম্পোজিটের স্যাম্পল সেকশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডেপুটি ম্যানেজার) মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এ কারণে আমরা সড়কে দাঁড়িয়েছি। আমার বড় ছেলেটার এক বছর ধরে লেখাপড়া বন্ধ। এক লাখ টাকা ঘর-ভাড়া আটকে আছে।
“আমি ১১ বছর চাকরি করেছি এই কারখানায়। কিন্তু, বকেয়া বেতন, বোনাস ও অন্যান্য পাওনাদি মিলিয়ে ছয় লাখ টাকা পাব। এই টাকাগুলো আদৌ পাবো কিনা তার নিশ্চয়তা নেই।”
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি সফিউল আলম বলেন, শ্রমিক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বকেয়া রোববার মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। নাহলে সোমবার ঢাকায় শ্রম ভবন ঘেরাও করা হবে।
তিনি বলেন, “১০ ডিসেম্বর সরকার কারখানার মালিককে ১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আমরা জানতে চাই, এই বন্ধ কারখানাটিকে সরকার যে ১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সেই টাকা কার পকেটে গেছে? সরকারের দেওয়া ঋণের ১৩ কোটি টাকা থেকে মাত্র ছয় কোটি টাকা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বাকি টাকা কেন শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে এখনো বিতরণ করা হয়নি? কারখানার মালিক রাতের আঁধারে কারখানা বন্ধ করে চলে গেছে?”
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের মালিকপক্ষের কারো বক্তব্য সংগ্রহ করা যায়নি।