Published : 13 Dec 2023, 04:08 PM
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় গলিত লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ; সেই সঙ্গে হত্যায় জড়িত অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে বলে জানান পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক।
নিহত তরুণের নাম নাঈম ইসলাম (২৩)। তিনি উপজেলার ধরঞ্জী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মাসুদ রানার ছেলে এবং মহিপুর হাজি মহসিন সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। গত ২২ এপ্রিল রোজার ঈদের দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
গত শনিবার রাতে ধরঞ্জী বাজার সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মাটিতে পুঁতে রাখা গলিত লাশের সন্ধান পান শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠায়। সেখানেই নাঈমের পরিচয় শনাক্ত হয় বলে জানান ওসি।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার অতিরিক্ত জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, রোজার ঈদের দিন সন্ধ্যায় একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি নাঈম। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখুঁজি করে না পেয়ে গত ২৫ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় একটি জিডি করেন নাঈমের বাবা।
এর মধ্যে গত শনিবার গলিত লাশটি উদ্ধারের পর থেকে পলাতক ছিলেন একই এলাকার ভাড়াটিয়া দম্পতি রেজ্জাকুল আলী (৪৩) ও সাবিনা খাতুন।
নাঈমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে রেজ্জাকুল ও সাবিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে তার পরিবার।
মামলার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সহযোগিতায় জয়পুরহাটের র্যাব-৫ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের পীরগাছা গ্রেপ্তার করে বুধবার ভোরে পাঁচবিবি থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানান জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার।
পাঁচবিবি থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে আসামিরা অপরাধ স্বীকার করেছেন। তবে কীভাবে এবং কেন তারা কলেজ শিক্ষার্থী নাঈমকে হত্যা করেছেন সে ব্যাপারে এখনো কিছু বলেননি। বিস্তারিত জানতে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।”
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]