Published : 26 Nov 2023, 02:08 PM
বরিশাল নগরীতে নিজ বাসায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে তিনি জখম হয়েছেন। তবে তাতে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রোববার ভোরে নগরীর জর্ডন রোডের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি।
গৃহবধূ ইসরাত জাহান এনি (৪০) বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউপির হায়াতসার গ্রামের ফকির বাড়ির মৃত মোজাম্মেল হক ফকিরের মেয়ে ও নগরীর সদর রোডের প্রিন্টিং ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন লিটনের স্ত্রী।
তারা নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে, শিশু কন্যা ও কলেজ পড়ুয়া ভাগ্নিকে নিয়ে জর্ডন রোডের ওই তিন তলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এনির ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এনি ধার্মিক ও পর্দানশিন ছিলেন। ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে উঠে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। তখন তার হাতে থাকা সিরামিকের মগও পড়ে ভেঙে যায় এবং মগের একটি টুকরো এনির কুঁচকিতে বিদ্ধ হয়।
মিজান বলেন, “স্ত্রীর পড়ার শব্দ পেয়ে লিটন ছুটে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। তখন অন্যান্যরা ছুটে এসে এনিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।”
মিজান আরও বলেন, দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিবাদ ছিল না। তাদের ছেলেও জানিয়েছে পড়ে গিয়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নেয়ার জন্য আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।
লাশের সুরতহাল তৈরিতে সহায়তা করা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা এসআই দোলা গৃহবধূ এনির কুঁচকিতে তিন ইঞ্চি কাটা দাগ পেয়েছেন।
“সেই ক্ষত থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছেন। তারা ময়নাতদন্ত করবেন কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন।”
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আপাতত ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভুঞা সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে না। তাই এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও ছেলেকে পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”