Published : 05 Jun 2025, 12:25 PM
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নেই।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ফেরি বা লঞ্চে করে নদী পার হয়ে স্বস্তিতেই গন্তব্যের দিকে ছুটছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জেলার মানুষরা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আব্দুস সালাম বলেন, “ঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ থাকলেও কোনো ভোগান্তি নেই। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে নয়টি বড়, তিনটি মাঝারি ও পাঁচটি ছোট ফেরি চলাচল করছে।”
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন এই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-পথ হয়ে চলাচল করে তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। তার পরও ঈদের সময় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়ার ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহন ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে। ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় শতাধিক ছোট গাড়ি পারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এসব ঘাট দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী শত শত মানুষ ফেরি ও লঞ্চে নদী পারাপার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীবহন রোধে নৌ পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
৫ নম্বর ঘাট এলাকায় কথা হয় সাভার সোয়েটার ফ্যাক্টরির কর্মচারী রনি হোসেনের সঙ্গে।
সকাল ১০টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঈদের ছুটিতে বরিশাল যাচ্ছি। ৫০ মিনিট হল ফেরির অপেক্ষায় রয়েছি।”
কুষ্টিয়ার যাত্রী রফিক বলেন, “ঈদের কারণে ঘাটে গাড়ি আর মানুষের চাপ বেড়েছে। অনেকক্ষণ ধরে ফেরির অপেক্ষায় রয়েছি।”
আলমগীর হোসেন নামের এক ট্রাক চালক সকাল ৭টা থেকে ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় ছিলেন। পরে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় পর ফেরিতে উঠতে পারেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আব্দুস সালাম বলেন, “নদীতে পানি বাড়ায় পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে পদ্মা নদীর অববাহিকায় তীব্র স্রোত রয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিক সময় থেকে বর্তমানে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে।”