Published : 18 Dec 2023, 05:30 PM
কক্সবাজারে নিজের নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থী হিসেবে নতুন হলেও সেটি ‘ওভারকাম’ করার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম।
সোমবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক পাওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীর সাবেক এই মেজর জেনারেল বলেন, “আমাকে নৌকা ও ধানের শীষের নেতৃস্থানীয় ও গণ্যমান্য যারা তারা চিনবেন। এর কারণ, ব্যক্তি ইবরাহিমের আলাদা একটি পরিচয় ছিল এবং আছে। এখন পরিচয় হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী।
“আমি বিশ্বাস করি, পরিচয়টা বড় সমস্যা হবে না। যতটুকু হয়, মিনিমাম সেটা ওভারকাম করার জন্য আমরা আমাদের পরিকল্পনা করেছি। ইনশাল্লাহ সেটা আমরা করে ফেলব।
‘এক দফা’ দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি সিদ্ধান্ত পাল্টে এবার ভোটে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। যার জের ধরে দলের একটি অংশ তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির (ওয়ান-ইলেভেনের) পর জরুরি অবস্থার মধ্যে দেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক বিশেষ মুহূর্তে ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি’ স্লোগান সামনে রেখে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবির্ভাব হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং সর্বশেষ জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোট ছিলেন।
এর আগে তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। এবার তিনি চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। যে নির্বাচনি এলাকাটি তার জন্য নতুন।
এক দফা ছেড়ে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গড়ে ভোটের মিছিলে সৈয়দ ইবরাহিম
আন্দোলনে ‘পেরে না উঠে’ ভোটের মাঠে ইবরাহিম
ইবরাহিমকে বহিষ্কার করে কল্যাণ পার্টির নতুন কমিটি
কক্সবাজারে নৌকার সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা টিকল না
এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন সালাউদ্দিন আহমদ। কিন্তু ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।
তবে এখন ভোটের মাঠে লড়াইয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন। এ ছাড়া এই আসনে জাতীয় পার্টির হোসনে আরাসহ আরও চার প্রার্থী রয়েছেন।
সাংবাদিকদের ইবরাহিম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আর সমালোচনা করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো ক্ষোভ বা রাগ নেই। আছে শ্রদ্ধা এবং তাদের কাছে দোয়া কামনা করছি।
“আমি হাসিখুশি মনে সবকিছু গ্রহণ করেছি, সামনেও করবো। মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে। এটা সমুন্নত রাখতে চাই।”
কল্যাণ পার্টির প্রধান বলেন, “কক্সবাজারে নেতৃত্বের পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। এই আসনের সাধারণ মানুষ তাদের নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়। এই আসনের ভোটারদের মধ্যে অনেক অভিযোগ আছে, অশান্তি আছে।
“এ আসনে যেহেতু নৌকার প্রার্থী নেই, তাই ভোটারদের আমার হাতঘড়ি মার্কায় ভোট দিতে সুবিধা হবে। এজন্য এই আসনে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। নৌকা ও ধানের শীষ সবার সমর্থন এবং ভোট পাব বলে আশা করছি।”
এদিকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আওয়াল মামুনও কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।