Published : 06 Mar 2025, 11:11 PM
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার ‘নিয়ন্ত্রণ’ ঘিরে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতার অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে আদমজী এলাকায় দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে গুলির ঘটনাও ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের অনুসারীরা ওই সংঘর্ষে জড়ান৷ সাগরের কয়েকজন অনুসারীকে আদমজী ইপিজেডের ভেতরে ‘মারধর করেন’ মনিরের অনুসারীরা৷ পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হয়।
সংঘর্ষের মধ্যে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকানপাট৷ গুলিও চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনূর আলম বলেন, “ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ঘিরে নেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি হয়, পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়৷ গুলি চালানোর খবরও পেয়েছি৷ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জেনেছি৷”
ছাত্রদল নেতা রাকিবুর রহমান সাগর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইপিজেডের ভেতরে আমাদের কয়েকজন ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা৷ হামলাকারীরা বিএনপি নেতা মনির হোসেনের অনুসারী৷ পরে এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করে৷”
সংঘর্ষে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মানিক মিয়া, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোহন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আরিফ আহত হয়েছে জানান তিনি।
অপরদিকে বিএনপি নেতা মনির হোসেনের ভাগ্নে রুহুল আমিন নিজেকে বিএনপির কর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন, “ইপিজেড আগে নিয়ন্ত্রণ করতেন যুবলীগ নেতা ও নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান (বর্তমানে কারাগারে)৷ এখন ইপিজেডের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান ছাত্রদল নেতা সাগর৷
“ইপিজেডের ভেতরে আমাদের কিছু লোকজনের সঙ্গে সাগরের লোকজনের হাতাহাতি হয়৷ পরে সাগর ও তার দলবল আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়৷”
সংঘর্ষে মনিরের অনুসারী রবিউল, ইব্রাহিম, সাকিব, সাব্বির, ইকবাল, রনি ও রাসেলসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। সংঘর্ষে আহত তোফাজ্জল হোসেন নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।