Published : 25 May 2025, 09:00 PM
রাজবাড়ীর পাংশায় পদ্মার চরে প্রায় কুড়িটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এসেছে।
রোববার দুপুরে পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, শনিবার বিকালে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর-শাহামীরপুর এলাকার পদ্মা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত হাসেম শেখের দাবি, তারা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পদ্মার চরে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ পাবনা জেলার লোকজন দাবি করছেন, এই চর তাদের। শনিবার বিকালে ১০০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িঘরে হামলা চালায়।
“আমরা ভয়ে পাশে বনের ভেতর লুকিয়ে ছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “আমার একটা পাওয়ারট্রিলার, একটা সেলো মেশিন, ৪০ মণ ধান ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।”
চরের বাসিন্দা আমজাদ খান বলেন, “আমার বাপ-চাচারা এখানে বসবাস করে আসছে। আমার জন্মও এখানে। এখানে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। আমাদের জমির কাগজপত্র সবই আছে। কিন্তু পাবনার লোকজন বলতেছে জমি তাদের। কাল একশজন এসে আমাদের বাড়িঘর ভাঙ্চুর করে আগুন লাগিয়ে দিছে।”
মো. কাশেম শেখ বলেন, “আমার বাড়িঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। ঘরে থাকা নগদ ২২ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে গেছে। শুধু আমার না, অনেকরই টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে। বোবা মো. তসলিমের গরু বিক্রি করা টাকাও নিয়ে গেছে।”
হামলাকারীরা ১৯টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে একটি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা আশা করি, ডিসি স্যার, এসপি স্যার আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।”
ফুলি বেগম নামে এক নারী বলেন, “আমাদের কাছে এসে বলে, এ জমি তাদের। আমরা দখল করে আছি। আমি তখন বললাম, আমাদের কাগজপত্র আছে। আপনাদের কাগজপত্র থাকলে আপনারা নিয়ে আসেন। উনারা কোনো কথা শুনল না, বাড়ি ভেঙে দিল। আমার ঘরে গরু বিক্রির টাকা ছিল, ধান ছিল, সব নিয়ে গেছে।”
পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, “হামলার মূল কারণ হল, জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে। এপারের মানুষের দাবি, জমি এদের; আর ওপারের মানুষের দাবি জমি ওদের। খবর পেয়ে পুলিশ গতকালই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।”