Published : 23 Nov 2024, 12:35 PM
চাঁদপুরে এই প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘হাঁটা ম্যারাথন’ (ওয়াকথন) প্রতিযোগিতা; যাতে অংশ নিয়েছেন ৪০০ নারী-পুরুষ।
‘সুস্থ দেহ সুস্থ মন, হাঁটবো আমি যতক্ষণ’ এই স্লোগানে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংগঠন ‘একটি উদ্যোগ’ এর প্রতিষ্ঠাতা আলম পলাশ।
সকালে পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুর রকিব।
পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা বয়সভিত্তিক চারটি দল শহরের বিভিন্ন সড়কে হেঁটে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে এসে ওয়াকথন শেষ করেন। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৪৫ এবং ৪৬ থেকে ৭৫ বছর বয়সী পুরুষের দুটি দল বিভিন্ন সড়কে ছয় কিলোমিটার হাঁটেন। আর একই বয়সভিত্তিক নারীদের দুটি দল হাঁটেন তিন কিলোমিটার।
হাঁটা শেষে অংশগ্রহণকারীসহ অন্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের চিকিৎসকরা। এ সময় বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণও করা হয়।
পরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসেই আয়োজন করা হয় প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ। সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আবদুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, “সুস্থ থাকার জন্য হাঁটা যেমন প্রয়োজন, তেমনি মনকে ভাল রাখার জন্য ভাল পরিবেশে আসতে হবে। হাঁটার জন্য যখন সবাই একত্রিত হবেন তখন নিজেদের মধ্যে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি হবে। এটিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, আইনজীবী ও সাংবাদিকরা।
পরে অংশগ্রহণকারী চারটি দলের তিনজন করে ১২জন বিজয়ীকে সনদ, মেডেল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করেন ব্যবসায়ী এন এম খান মুরাদ।
এমন প্রতিযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে ক্রীড়া ও সমাজিক সংগঠন ‘একটি উদ্যোগ’ এর প্রতিষ্ঠাতা আলম পলাশ বলেন, “ছয় মাস আগে শহরের বেশকিছু লোকজন নিয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজে হাঁটার অনুমতি চাইলে, কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন। তবে, পরিচয়পত্রসহ হাঁটার জন্য শর্ত দেন।
“যে কারণে একটি সামাজিক সংগঠন করার চিন্তা করা হয়। তার প্রেক্ষিতে ‘একটি উদ্যোগ’ এর পক্ষ থেকে ‘চলেন হাঁটি’ কার্যক্রম শুরু করি।”
তিনি বলেন, “আমাদের উদ্যোগের কারণে এখন বহু লোক প্রতিদিন কলেজ মাঠে হাঁটতে আসেন। এতে পরস্পরের প্রতি সামাজিক বন্ধন তৈরি হচ্ছে এবং সকাল বেলায় একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়।”