Published : 06 Jun 2025, 10:08 PM
টানা যানজটের পর কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে গাজীপুরের দুই মহাসড়ক।
শুক্রবার বিকাল ৪টার পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহনের তেমন ভয়াবহ চাপ দেখা যায়নি।
তবে পরিবহন সংকটের কারণে চন্দ্রা ত্রিমোড় ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যাত্রীদের ভিড় আছে। তারা শেষ সময়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন।
এদিন ভোর থেকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তৈরি হয়।
এ ছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন এই যাত্রী ও চালকরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিকাল ৪টার পর থেকে দুই মহাসড়ক ছিল অনেকটাই চাপমুক্ত। সড়কে বেশ কিছু গাড়ি থাকলেও সেগুলো চলছিল। যাত্রীও নিচ্ছিল।
চালকরা জানান, দুপুরের পর থেকে এ দুটি মহাসড়কে যানবাহন ও ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ কমতে শুরু করে। এখন যারা বাড়ি যাচ্ছেন, তারা তুলনামূলকভাবে স্বস্তিতে ফিরছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় দুপুরের আগে দুর্ভোগ থাকলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানবাহন চলছে স্বাভাবিক গতিতে।
দুপুরের দিকে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় পরিদর্শনে যান হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “গত দুই দিনে উত্তরবঙ্গের সর্বাধিক মানুষ চন্দ্রা অতিক্রম করেছেন। অতীতের মত এবারও চন্দ্রাকে ‘হট স্পট’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। রোজার ঈদে আমরা সময় বেশি পেয়েছিলাম, তাই ওই সময় মানুষ একটু সময় নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল।”
গাজীপুরের নাওজোড় হাইওয়ে থানার এসআই শাহিন বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চন্দ্রাসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক মানুষ ও যানবাহনের চাপ ছিল। বিকাল ৪টার পর থেকে পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে গেছে।”