Published : 16 May 2025, 04:12 PM
গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ায় মাছ চাষের ঘের কাটাকে কেন্দ্র দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান আলী, জহির গাজী বলেন, বর্ষাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম ফকির হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তার সঙ্গে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ জমিতে এক পক্ষ মাছ চাষের ঘের কাটা শুরু করলে বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে। এরই জের ধরে শুক্রবার মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন ইব্রাহিম ফকিরের সমর্ধকদের মারধর করে।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন ঢাল-সড়কি, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে জালাল ফকির (৪৫), মেহেদী ফকির (২০), পলাশ ফকির (৩৫), আলামিন ফকির (৩০), রবিউল ফকির (২৫), রিয়াজ ফকির (২২),মিরাজ ফকির (৪৫), সুফিয়ান ফকির (২০), রফিকুল ফকির (৫৫), গাউস ফকির (৩৮), মনিরুজ্জামান ফকির (৪৫), আব্বাস আলী ফকির (৩৫), আকাশ ফকির (১৩), নাসির ফকির (২০) গুরুতর আহত হয় ।
আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতাল ও কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির বলেন, “বিলে আমার একটি মাছের ঘের কাটা নিয়ে এলাকার মোকসেদ আলী ফকিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
“শুক্রবার মোকসেদ আলী ফকিরের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার লোকজন আমার সমর্থককে মারপিট করে। আমি লোকজন নিয়ে বাধা দিতে গেলে মোকছেদ আলীর লোকজন আমাদের উপরও হামলা চালায়।”
হামলায় তার ২৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন এই ইউপি সদস্য।
অন্যদিকে মোকসেদ আলী ফকিরের ছেলে আলামিন ফকির বলেন, “ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির কিছুদিন আগে লোকজন নিয়ে জোর করে আমাদের জমিসহ কয়েকজনের জমিতে মাছের ঘের কাটতেছিল। তখন আমরা বাধা দিলে ঘের কাটা বন্ধ হয়।
“কিন্তু শুক্রবার ইব্রাহিম ফকির লোকজন নিয়ে আমাদের সেই জমিতে ঘের কাটার প্রস্তুতি নেন। এতে আমরা বাধা দেই। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
“সংঘর্ষে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ইব্রাহিম ফকিরের শাস্তি চাই। ”
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।