Published : 19 May 2025, 03:15 PM
মাগুরা সদর উপজেলায় এবার মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উছেঠে। এ ঘটনায় করা মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার দুই দিন পর রোববার গ্রেপ্তার দুই আসামির মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রোববার ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এর আগে শনিবার দুপুরে মেয়েটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাওন (২০) ও টিপু (২২)। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।
মামলায় বলা হয়েছে, “ভুক্তভোগী কিশোরী কানে শোনে না এবং কথাও বলতে পারে না। তাকে সামলাতে অনেক সময় বেঁধে রাখতে হয়। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মেয়েটিকে ঘরে রেখে তার মা গোসল করতে যান। ফিরে এসে মেয়েকে না পেয়ে বাড়ির আশপাশে খুঁজতে থাকেন।
“পরে মেয়েটিকে বাড়ির পাশের একটি পাট ক্ষেত থেকে আসতে দেখেন। তবে তার গায়ে কাদামাখা ছিল। একই সময় প্রতিবেশী টিপুকে দেখা যায়। ওই যুবকের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি আরও এক যুবকের নাম বলেন। তাদের মধ্যে একজন মেয়েটির চাচাতো ভাই। তিনি মেয়েটিকে পাটখেতে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় অপর যুবকও মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।”
ওসি আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার পরপর মেয়েটির চাচাতো ভাই শাওনকে আটক করা হয়। পরে টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করছেন শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. পিয়ার উদ্দিন। তিনি বলেন, “দুই আসামির মধ্যে শাওন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
“তিনি আদালতকে জানান, প্রথমে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘটনাটি আরেক যুবক দেখে ফেলেন, তখন ওই যুবকও তাকে ধর্ষণ করেন।”
মেয়েটি যেহেতু মানসিক ভারসাম্যহীন, তাই এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কারও সহায়তায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান পিয়ার উদ্দিন।
তিনি বলেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে।
এর আগে ৬ মার্চ মাগুরা পৌর এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। পরে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ঘটনার দুই মাস ১১ দিনের মাথায় শনিবার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস পেয়েছেন বাকি তিন আসামি।