Published : 11 Jun 2025, 04:10 PM
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে হামলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে শাহজাদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে ওসি আসলাম জানান।
এদিকে বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
এর আগে সকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
প্রবেশ নিষিদ্ধের একটি নোটিস রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির মূল দরজায় টানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে আগত দর্শনার্থীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।
সকালে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বলেন, “অনিবার্য কারণবশত দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে এবং পুরো বিষয়টি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নজরদারিতে রয়েছে। ঈদের ছুটিতে এক দর্শনার্থীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার পর অডিটোরিয়াম ভাঙচুর ও মারধরের পর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এর আগে ৮ জুন একজন দর্শনার্থী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে যান। সেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং ফি নিয়ে গেটের এক কর্মচারির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
পরে ওই দর্শনার্থীকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১০ জুন তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। এরপর মিছিল থেকে একদল উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়ির অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর চালায় এবং এক পরিচালককে মারধর করেন।
এ ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং শাহজাদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মামলার প্রসঙ্গে শাহজাদপুর ওসি আসলাম বলেন, “কাছারি বাড়িতে হামলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ভাঙচুর ও স্টাফদের মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
“তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।”
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম শাহজাদপুরে এসেছেন।
“তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের সিদ্বান্ত দেন। এরপরই কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে মামলা করেন।”