Published : 24 Mar 2025, 05:08 PM
পিরোজপুরের নেছারাবাদে স্ত্রী লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী।
রোববার রাতে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে বলে নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার জানান।
নিহত বিথী আক্তার উপজেলার পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠি গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে।
পালিয়ে যাওয়া ফাহিম হোসেন একই ওয়ার্ডের ছারছিনা গ্রামের সোহাগ হোসেনের ছেলে।
নিহত বিথী আক্তারের পরিবারের দাবি ফাহিম তার মেয়েকে হত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় ফাহিম হোসেন ও তার বাবা সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন মেয়ের বাবা মিজানুর রহমান।
এদিকে, সোমবার দুপুরে বিথী আক্তারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও নেছারাবাদ থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
মিজানুর রহমান বলেন, প্রেম করে ৬ মাস আগে আমার মেয়েকে বিয়ে করে আমাদের প্রতিবেশী ফাহিম হোসেনকে।
কিন্তু বিয়ের পর ফাহিম যেহেতু বেকার ছিল, সেহেতু বিভিন্ন সময় টাকার জন্য আমার মেয়েকে চাপ দিত। প্রায়ই মারধর করত।
রোববারও মারধর করে মেয়েকে তার কাছ থেকে নিয়ে যেতে বলে ফাহিম।
পরে রাত ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানায়, আমার মেয়ে মারা গেছে। পরে আমরা সেখানে যাই এবং দেখি ওখানে বিথীর লাশ পড়ে আছে, পাশে কেউ নেই।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিথী আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসাপাতালে আনা হয়।
পুলিশ পরিদর্শক রাধেশ্যাম সরকার বলেন, হাসাপাতাল থেকে লাশ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।