Published : 01 Oct 2024, 04:03 PM
গাজীপুরে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর কোনাবাড়ির জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে কোনাবাড়ি থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান।
আহতরা হলেন- শামীম খন্দকার, আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন।
তাদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জরুন এলাকায় বাসিন্দা রাজীব সরকার জানান, ‘এসট্টো নিট ওয়্যার লিমিটেড’ নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝুটের ব্যবসা করে আসছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কারখানা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, “এর মধ্যে গাজীপুর নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান রয়েছেন। তাদের নেতেৃত্বে ওই কারখানা থেকে মঙ্গলবার সকালে ঝুট মাল বের করতে যায় তাদের লোকজন। এ সময় একই ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির কর্মী আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকারসহ ১০-১৫ জন তাদের বাধা দেয়।
“তখন উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সালাউদ্দিন, বিপ্লব খান, পাভেল হোসেন, পলাশ মিয়া ও নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জহিরুলদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে। এতে পাঁচজন মারাত্মক জখম হয়।”
এদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, “হামলার অনেকেই আমার জড়িত থাকার কথা বলছে। কিন্তু আমি এই ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই।
“ওই কারখানায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন ঝুট ব্যবসা করে। তাদের বাধা দিতে গিয়েছিল বিএনপির আরেকটি পক্ষ। তখন দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।”
ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওসি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন।